সাধারণ লবণ খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে জন্য অনেকেই লবণ খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু লবণ ছাড়া খাবার খাওয়া কি সম্ভব? তাই লবণের বদলে হিমালায়ান পিংক সল্ট ব্যবহার কপিংক সল্ট কি?
এটি একটি প্রাকৃতিক সল্ট। হিমালয়ান সল্ট ৮০+ খনিজ নিয়ে গঠিত যা পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এ* ৮৫% থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড আর ১৪% থাকে সালফেট,
* ম্যাগনেসিয়াম,
* ক্যালসিয়াম,
* পটাসিয়াম,
* খাবার সোডা,
* বরিক অ্যাসিডের সল্ট,
* স্ট্রনশিয়াম এবং
* ফ্লোরাইড মত খনিজ পদার্থ। এই সকল খনিজের উপস্থিতির কারণে এই সল্ট বিভিন্ন উপকার করে।
উপকারিতা:
১। পিংক সল্ট ডায়েবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ২। হাড় শক্ত করে।
৩। মাইগ্রেইনের ব্যথা দূর করে।
৪। পেশী ব্যাথা রোধ করে।
৫। হজমশক্তী বাড়ায়৬। এটি ঠান্ডা, জ্বর এবং এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।
৭। ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
৮। এটি ত্বক এর ছিদ্র খুলে দেয় এবং রক্তসঞ্চালন করে।৯। ত্বকের চামড়া কুঁচকানো রোধ করে।
১০। মন ও শরীর সতেজ রাখে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
জুস, ফ্রুট সালাদ, ভেজিটেবল সালাদ সহ বিভিন্ন খাবারে পিংক সল্ট ব্যবহার করলে অন্যরকম স্বাদ পাবেন। এছাড়াও প্রতিদিনের রান্নাতে এই লবণ ব্যবহার করতে পারবেন। এই লবণ খাবারকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর করে তোলে। মাইগ্রেনের ব্যাথা দূর করতে এই লবণ দিয়ে লেবুর শরবত বানিয়ে খেলে ব্যাথা দূর হবে। এক্ষেত্রে ; ১ কাপ পানিতে ২ চা চামচ হিমালয়ান পিংক সল্ট, ২ চা চামচ লেবুর রস ও সামান্য লেবুর খোসা একসাথে মিশিয়ে পান করুনএছাড়াও মাংস পেশীকে রিল্যাক্স করতে গোসলের বাথটব বা বালতির পানিতে এক টুকরো হিমালয়ান লবণের চাক ছেড়ে দিন। শরীর তরতাজা লাগবে।সুতরাং সাধারণ লবনের পরিবর্তে এই হিমালায়ান পিংক সল্ট ব্যবহার করে দেখুন, পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।
।
।
তে-
রুন।